Thursday, July 4, 2024

খাই খাই

- সুকুমার রায়

 


 

মায়ের ভাঙা চশমা


অফিসে আমি তখন বড় আপা কল দিয়ে বললেন, তুই কি আজকে আমাদের বাসায় আসতে পারবি? আমি জিজ্ঞেস করলাম কখন? আপা বলল, দুপুরে চলে আয় পারলে তোর বউ বাচ্চাদের নিয়ে। না আপা, দুপুরে পারবো না সন্ধ্যায় আসি। আপা বলল, আচ্ছা সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি আসিস, তোর দুলাভাই আজকে বাসায় থাকবে সন্ধ্যায়।
 
যাক এইভেবে ভালো লাগছে সন্ধ্যায় দুলাভাইয়ের সাথে দুর্দান্ত একটা আড্ডা হবে। এই মানুষটার সাথে আমার আড্ডা জমে, থাকে না কিছু মানুষ যাদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে, কথা ফুরায় না, যাদের পাশাপাশি থাকলে মনে অন্যরকম এক উৎফুল্ল ভাব থাকে দুলাভাই আমার কাছে তেমন মানুষ।
আপার বারবার কল দেওয়ার অবশ্য একটা কারন আছে। আম্মার একটা চশমা যা আমার কাছে আছে গত একমাস ধরে। আমাদের জন্যে আব্বা আম্মার রেখে যাওয়া কোনো সম্পদ ছিলো না, আব্বা তাঁর গ্রামের জমি বিক্রি করে শহরের ব্যবসা শুরু করেন। আব্বা মারা যাবার পরে সেই ব্যবসার যাদের সাথে শেয়ারে ছিলো তাঁরা সব টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আমার মা অবশ্য একটা মামলা করলো, কিন্তু আমরা এক পয়সাও পেলাম না। মা একসময় থানায় দৌড়াদৌড়ি করা ছেড়ে দেয়।
 
আব্বার অল্পকিছু জমান টাকা ছিলো, তখন শহরে আমরা ভাড়া বাসায় থাকি। আব্বা চলে যাওয়ার পরে যেহেতু আমাদের সংসারে আয় করবার মতো কেউ ছিলো না, যার কারনে সেই বাসা ছাড়তে হয়। মা আমাদের দুই ভাই বোনকে নিয়ে একট এক রুমের বাসায় উঠে। আপার আর আমার একসময় আলাদা রুম ছিলো এখন আমরা সবাই এক রুমেই থাকি।
 
আব্বার বন্ধু নিজাম কাকা মাকে একটা বেসরকারি স্কুলে চাকরি দিয়ে দেন। মায়ের স্কুলের বেতনের টাকায় সংসার চালানো অনেক কষ্ট হয়ে গেলো, তখন মা স্কুল ছুটি পরের বিকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত টিউশন পড়াতেন। আপা তখন ক্লাস এইটে পড়ে, আমি ফাইভে; দুজনের পড়াশোনার খরচ, সংসারের খরচ, এই এক রুমের ঘরটার জন্যে দুই হাজার ভাড়া দিতে হতো— এই সবকিছু মায়ের একার আয়ে চলতো।

মায়ের হঠাৎ একবার চোখে সমস্যা হয়, তখন ডক্টর দেখিয়ে চশমা নিতে হয়। এর কিছুদিন পরেই আপার হাত থেকে পরে মায়ের চশমার ডাট ভেঙে যায়, আপা সেদিন ভয়ে ভয়ে মায়ের কাছে গেলো। আমি ভেবে নিছিলাম মা আপাকে কয়েকটা চড় থাপ্পড় দিবে। কিন্তু মা আপাকে কিছুই বললো না, মাকে দেখলাম চশমার ফ্রেমের সাথে ভাঙা ডাট গুনা দিয়ে বেঁধে নিছেন। এই চশমায় খরচ হয়েছে চার হাজার টাকা, এখন ফ্রেম কিনতে গেলে বাড়তি টাকার দরকার, মা টাকা বাঁচাতে সেই ভাঙা ফ্রেমের চশমা চোখে দিয়েই কাটিয়েছেন।
 
স্কুল, কলেজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, আপা পড়তেন জাহাঙ্গীরনগর। যদিও আমার জাহাঙ্গীর নগর চান্স হলো না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাবজেক্টে আমি ভর্তি হই। আমরা দুই বোন তখন টিউশন করে পড়াশোনার খরচ চালাই। বেশ কয়েক মাসের টিউশনের টাকা থেকে অল্প অল্প টাকা জমিয়ে ভেবে রেখছিলাম মাকে একটা চশমা কিনে দিবো।
 
হঠাৎ একদিন আপার একটা ফোন আসে, আপা তখন মায়ের কাছে থেকেই চাকরির জন্যে পড়ছে। আপা কান্নাভেজা কন্ঠে বলেন, বাবু মা আর নেই। বাড়িতে আম্মা আর আপা দুজনেই আমাকে বাবু ডাকতেন, নামধরে কখনো ডাকতেন না। আমার মনে হলো গোটা পৃথিবী শূন্য হয়ে গেছে, চশমা কেনবার টাকা দিয়ে মাকে একটা ট্রাকে করে গ্রামে নিয়ে যাই।
 
আমাদের জন্যে মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদ বলতে ছিলো একটা ভাঙা ফ্রেমের চশমা, যা মায়ের শেষ সময় পর্যন্ত চোখে ছিলো। চশমটা এখন আপার কাছে কিছুদিন থাকে, আবার আমার কাছে কিছুদিন থাকে।
সুদিন আমাদের এসেছে, আপার একটা কলেজে চাকরি হয়েছে, আমর চাকরি হয়েছে। তবে আমার মা যে কিনন ফুলের বিছানা থেকে নেমে দুই সন্তানকে নিয়ে অমসৃণ পথে হেঁটেছেন সে দেখে যেতে পারলো না সুখ, এই এক আপসোস। মধ্যবিত্ত, নিম্মমধ্যবিত্ত পরিরবারের সন্তানরা যখন মা বাবার পছন্দ পূর্ণ করবার মতো সামর্থবান হয় তখন মা বাবা অনেক দূরে চলে যায়।

সন্ধ্যাবেলা আমি যখন আপার বাসায় গেলাম, আপা বলল বাবু চশমা নিয়ে এসেছিস? আমি চশমার বক্সটা আপার কাছে দিলাম। আপা যলদি করে বাক্সটা খুলে এমনভাবে চশমায় স্পর্শ করলেন যেনো বহুদিন পরে মায়ের গালে আপা হাত রাখছেন, আপার মুখ বিষণ্ণ, আপার চোখে দেখলাম কয়েক ফোঁটা পানি, যেনো শিশির জমা ঘাস। আপার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে আমার চোখে পানি জমে গেলো টের পেলাম না।
 
-মুস্তাকিম বিল্লাহ

source: https://www.facebook.com/100076064586343/posts/495441839667965/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

কফিহাউজ গানের জন্মকাহিনী

কফিহাউজ গানটি নিয়ে মান্না দে সবসময় নিজের চেয়েও বেশি কৃতিত্ব দেন গীতিকার সুরকারকে। তিনি শুধু গানটা গেয়েছিলেন মাত্র।

তার মতে, হেমন্ত গাইলে গানটা সুপারহিট হতো আর শ্যামল মিত্র গাইলে তো হিট। তবে মান্নার কণ্ঠে যে গানটি চিরকালীন পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন গানটির সুরকার সুপর্ণকান্তি।
তবে মান্না দে এ গানটির দ্বিতীয় অংশ হিসেবে ‘স্বপ্নের কফি হাউস’ শীর্ষক একটি গান প্রথম গানটির ঠিক কুড়ি বছর বাদে গেয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যময় কারণে সেটি শোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বাঙালি।
কফি হাউসের সেই আড্ডাটা গানটির গীতকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের কথায় সুর দিয়েছিলেন নচিকেতার পুত্র সুপর্ণকান্তি ঘোষ। মান্না দের মতে, গৌরীবাবু লিখেছিলেন দুর্দান্ত।
সুরকার সুপর্ণকান্তি অসাধারণ কাজ করেছিলেন। এই গানটির জন্ম কাহিনীটি বেশ গল্পের মতো।
সময়টা ১৯৮৩ সাল। গীতিকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদার তখন আশা ভোঁসলেকে নিয়ে প্রচুর হিট প্রেমের গান লিখে চলেছেন। কিন্তু পূজার গান মান্না দের জন্য তিনি লিখতে পারছেন না। সবই লিখছেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে আক্ষেপ ছিল গৌরী প্রসন্নের মনে। এ সময় একদিন নচিকেতা ঘোষের নিউ আলিপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন গৌরী প্রসন্ন। উদ্দেশ্য ছিল শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে একটি গান তোলা।
সেই সময় সেরা জুটি ছিলেন নচিকেতা ও গৌরী প্রসন্ন। সেই সূত্রে নচিকেতার ছেলে সুপর্ণকান্তির সঙ্গেও বেশ ভাল সম্পর্ক। তবে বাড়িতে আসার অনেকক্ষণ পরে সুপর্ণকান্তিকে দেখতে পেয়ে গৌরী প্রসন্ন মজা করেই বলেন, `কী বাইরে আড্ডা মেরে সময় কাটাচ্ছ? এর উত্তরে সুপর্ণকান্তি তার গৌরী কাকাকে বলেন, `কী সব গদগদে প্রেমের গান লিখছো। একটা অন্যরকম গান লিখে দেখাও না। এই আড্ডা নিয়েও তো গান লিখতে পারো। `
এবার গৌরী প্রসন্ন বলেন, তুমি তো অক্সফোর্ডের এমএ হয়ে গিয়েছো। আড্ডা নিয়ে বাংলা গান গাইবে? সুপর্ণ এবার বলে, কেন নয়। কফি হাউসের আড্ডা নিয়েও তো একটা গান লিখতে পারো। গৌরী প্রসন্ন এবার বলেন, তোমার বাবা (নচিকেতা ঘোষ) কি আর সে গান গাইবেন? তর্ক চলছে বটে কিন্তু গৌরী প্রসন্ন এরই মধ্যে মনে মনে তৈরি করে ফেলেন দুটি লাইন।
এরপরেই সুপর্ণকান্তিকে বললেন, লিখে নাও- ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই/ কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই। ’ সুপর্ণও সঙ্গে সঙ্গে দুটো লাইনেই সুর দিয়ে শুনিয়ে দেন। উপস্থিত শক্তি ঠাকুর সেবার পূজায় গানটা গাওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেও সুপর্ণ রাজি হননি। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করে নিয়েছিলেন মান্না দের কথা।
কিন্তু গানের বাকি লাইনগুলো? পরের দিন সকালেই গৌরী প্রসন্নের স্ত্রী সুপর্ণকান্তিকে ফোন দিলেন । সারা রাত জেগে বহুদিন পরে গান লিখেছেন অসুস্থ গৌরী প্রসন্ন। তখনই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। দু’দিন পরে গানটা নিয়ে হাজির। কিন্তু শেষ স্তবক যোগ করার পক্ষপাতী ছিলেন না গৌরী প্রসন্ন। সুপর্ণকান্তি চান যোগ করুন একটি স্তবক।
শেষ পর্যন্ত রাজি হন। লেখেন দুর্দান্ত সেই লাইন- ‘সেই সাতজন নেই, তবুও টেবিলটা আজও আছে। ’ কিন্তু শেষ তিনটি লাইন তিনি লিখেছিলেন চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে বসে একটি সিগারেটের প্যাকেটের উল্টো পিঠে। এক চেনা লোকের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেন সুপর্ণকান্তির কাছে।
তারপর সুপর্ণকান্তির সুরে মুম্বইয়ে গানটি রেকর্ড করেন মান্না দে। তৈরি হয়ে যায় একটা ইতিহাস। তবে কফি হাউসের দ্বিতীয় অংশ হিসেবে পরবর্তী সময়ে ‘স্বপ্নের কফি হাউস’ নামে একটি গান রেকর্ড করেছিলেন মান্না দে। একটি নতুন রেকর্ড কোম্পানিই রেকর্ড করিয়েছিল গানটি। কিন্তু সুপর্ণকান্তি জানিয়েছেন, সেই গানের অরিজিনাল স্পুলটি পাওয়া যায়নি। ফলে অন্য স্পুল দিয়ে কাজ করতে হয়েছিল। নিখিলেশ, মইদুলদের নিয়ে দ্বিতীয় গানটি লিখেছিলেন শমীন্দ্র রায় চৌধুরী। প্রথম গানের স্কেলেই গানটা করেছিলেন মান্না দে। দ্বিতীয় গানটি প্রথমটির থেকেও সুরের বৈচিত্রের বিচারে অনেক ভাল হয়েছিল। কিন্তু কোথায় গেল সেই স্বপ্নের কফি হাউস কেউ জানে না। মান্না দেও হতাশ। তিনি শুধু বলেছেন, বাঙালি তো জানতেই পারল না সেই গানের কথা।
কফি হাউজ নিয়ে মান্না দের দুটি গান আছে। দুটি গান এখানে তুলে ধরা হল বাংলানিউজ পাঠকদের জন্য...
শিল্পী- মান্না দে
কথা- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
সুর- সুপর্ণ কান্তি ঘোষ
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই
আজ আর নেই...........................। ।
নিখিলেশ প্যারিসে মইদুল ঢাকাতে নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যান্ড এর গীটারিষ্ট গোয়ানিস ডি সুজা ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছে রমা রায়
অমলটা ধুক্ছে দুরন্ত ক্যান্সারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়। ।
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে শুনেছি তো লাখপতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে গাড়ী বাড়ি সব কিছু দামি তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে ডি সুজাটা বসে শুধু থাকতো। ।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘণ্টা চারমিনার ঠোঁটে জ্বলতো
কখনো বিষ্ণুদে কখনো যামিনী রায় এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুট্তাম
চারটেতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম। ।
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার কোথাও হলোনা ছাপা পেলো না সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোসালে এমেচার নাটকে রমা রায় অভিনয় করতো
কাগজের রিপোর্টার মইদুল এসে রোজ কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো। ।
সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি শুধু সেই সেদিনের মালী নেই
কত স্বপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজে কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এলো গেলো কতজনই আসবে, কফি হাউজটা শুধু থেকে যায়। ।
কফি হাউজ-২
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে
এখানেই পুজোটা কাটাবে
কী এক জরুরি কাজে ঢাকার অফিস থেকে
মইদুলকেও নাকি পাঠাবে
একটা ফোনেই জানি রাজি হবে সুজাতা
আসবেনা অমল আর রমা রায়
আমাদের ফাঁকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে
ওদের কখনো কি ভোলা যায়?
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
ওরা যেন ভালো থাকে একটু দেখিস তোরা
শেষ অনুরোধ ছিল ডিসুজার
তেরো তলা বাড়িতে সবকিছু আছে তবু
কিসের অভাব যেন সুজাতার
একটাও তার লেখা হয়নি কোথাও ছাপা
অভিমান ছিল খুব অমলের
ভালো লাগে দেখে তাই সেই সব কবিতাই
মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
নাম যশ খ্যাতি আর অনেক পুরস্কার
নিখিলেশ হ্যাপি থেকে গিয়েছে
একটা মেয়ে বলে সুজাতা বিয়েতে তার
দুহাত উজার করে দিয়েছে
সবকিছু অগোছালো ডিসুজার বেলাতে
নিজেদের অপরাধী মনে হয়
পার্ক স্ট্রীটে মাঝরাতে ওর মেয়ে নাচে গায়
ইচ্ছে বা তার কোন শখে নয়
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
কার দোষে ভাঙলো যে মইদুল বলেনি
জানি ওরা একসাথে থাকেনা
ছেলে নিয়ে মারিয়ম কোথায় হারিয়ে গেছে
কেউ আর কারো খোঁজ রাখেনা
নাটকে যেমন হয় জীবন তেমন নয়
রমা রয় পারেনি তা বুঝতে
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষ দিন
হারালো সে চেনা মুখ খুঁজতে
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
দেওয়ালের রঙ আর আলোচনা পোস্টার
বদলে গিয়েছে সব এখানে
তবুও প্রশ্ন নেই,
যে আসে বন্ধু সেই
আড্ডা তর্ক চলে সমানে
সেই স্বপ্নের দিনগুলো বাতাসে উড়িয়ে ধুলো
হয়ত আসছে ফিরে আজ আবার
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে
ডিসুজার ফেলে যাওয়া সে গীটার
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই।।
(তথ্যসূত্রঃ গুগল)
Collected

source: https://www.facebook.com/100008682274668/posts/3477179055914803/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

বুড়োর চিঠি বুড়িকে


Dear বুড়ি, কেমন আছো?
বড় ছেলের কাছে?
হিংসুটে ঐ বৌমাটি কি
তোমার পাশেই আছে?
নাতি, নাতনি কেমন আছে?
ওরা কি সব স্কুলে ?
এতদিনে ওরাও হয়তো
আমায় গেছে ভুলে!
সে যাক ভুলে, এবার তুমি
তোমার কথা বলো।
তোমার হাঁটুর ব্যথাটা কি
এখন একটু ভালো?
আসার সময়, তোমার প্রেশার
ছিল অনেক বেশি।
উপরে প্রায় দুশো ছিলো,
নিচে ছিল আশি।
এখনও কি তোমার প্রেশার
একই রকম আছে?
থাকলে পরে, ওষুধ চেও
বড় খোকার কাছে।
Sugar টাও তো বেশি তোমার,
মিষ্টিটা কম খেও।
মাঝে মাঝে sugar টাকে
check করিয়ে নিও।
এসেছিলাম দেখে তোমার
heartএ blockage আছে।
দেখিয়েছে কি ওরা তোমায়,
specialist এর কাছে?
ছোটো খোকার কাছে আছি,
ভীষণ কষ্টে আমি।
বৌমা বলে আমার থেকেও
কুকুরটা তার দামি।
সকাল থেকেই বাজারঘাট আর
যত ঘরের কাজ,
বউমা আমায় করিয়ে নিয়ে
দেখায় আবার ঝাঁঝ।
আমারও তো শরীরটা আর
সুস্থ মোটেও নেই।
হাত-পা গুলো কাঁপতে থাকে,
উঠে দাঁড়াই যেই।
কি আর করবো, এটাই হয়তো
বুড়ো হওয়ার জ্বালা,
হওয়ার ছিল ভাগের মা আর
ভাগের বাবার পালা।
পারলে তুমি ভালো থেকো
একটু আধটু ঘুরো,
চিন্তা বৃথাই আমার জন্য,
ইতি- "তোমার বুড়ো"......

#সংগৃহীত

আব্দুল। রোল নম্বর ১

অংকের শিক্ষক একটি অংক দিয়ে বললোঃ তোদের
মধ্যে যে অংকটি পারবে তাকে আমি এক জোড়া জুতা
গিফট করবো।
সকল ছাত্র অংকটি সঠিক
উত্তর দিলো।
শিক্ষকঃ আমিতো একজনকে জুতো দিতে পারবো। একটা কাজ কর, লটারী করি।
বাক্সের মধ্যে তোরা তোদের নাম আর রোল নম্বর লিখে দে।
ছাত্ররা রোল নাম/নম্বর লিখে বাক্সে রাখলো। শিক্ষক বাক্স একটু ঝাঁকিয়ে চোখ বন্ধ করে একটি কাগজ তুললেন।
শিক্ষকঃ আমি কি নামটি পড়বো?
ছাত্ররা একত্রে বললোঃ পড়েন স্যার।
পুরো ক্লাশ Pin drop silence
শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ।
শিক্ষক পড়লেনঃ
আব্দুল। রোল নম্বর ১
ছাত্ররা হাত তালি দিয়ে ফার্স্ট বয়কে অভিনন্দন জানালো।
শিক্ষক পরের দিন এক জোড়া জুতো নিয়ে এসে বললেনঃ তোরা সকলে মিলে জুতা ওকে পড়িয়ে দে।
টিচার্স রুমে ঐ শিক্ষকের চোখে জল দেখে সহকারী শিক্ষক জিজ্ঞাসাঃ স্যার, আপনার চোখে জল কেনো।
শিক্ষক জুতোর ঘটনা খুলে বলে, বললোঃ আব্দুল ক্লাশে একমাত্র ছাত্র যে কিনা, খালি পায় ক্লাশে আসে।
আমি ওর কথা চিন্তা করে কঠিন অংক দিলাম। সবাই অংকটি সঠিক উত্তর দিলো। সবচেয়ে অবাক লাগলো, লটারীর বাক্স খুলে দেখি সকল ছাত্রই তাদের স্ব স্ব নাম
নাম না লিখে, লিখেছিলো, আব্দুল, রোল ১,,, যাতে করে জুতো জুড়া আব্দুল পায়।
সেই ছাত্রটি
A. P. J. Abdul Kalam
Former President of India
---- collected

বল্টু

  ●বল্টু : আমার একটা সমস্যা হচ্ছে। ডাক্তার : কি..? বল্টু : যখন যার সাথে কথা বলি তাকে দেখতে পাইনা। ডাক্তার : কখন এরকম হয়..? বল্টু: যখন ফোনে ক...