ফেরদৌস আহমেদ
পাঁচ বছরের ছোট্ট খুকি নাম হল তার রানী
পাশের বাড়ির মজনু মিয়া ডাকে তারে নানি।
রানী না কি দেখতে তাহার মরা নানির মত
মজনু মিয়া তাই রানীরে আদর করে এত!
আদর কইরা তাই রানীরে লইয়া যায় সে হাটে
এটা সেটা মজা খাওয়ায় সোহাগ চুমু কাটে।
মাঝে মাঝে কান্ধে নিয়া গাঁয়ের পথে ঘোরে
গোসল করতে নদীর ঘাটে যায় সে নিয়ে ক্রোড়ে।
রানীর জন্য নিয়ে আসে নিজের গাছের কলা
খেলনা আনে আশে পাশে হইলে কোথাও মেলা।
হঠাৎ সেদিন দিনের শেষে সন্ধ্যা নামার পরে
বাপ মা দেখে তাদের রানী ফিরছে না আর ঘরে।
এক নিমিষে পাড়ায় পাড়ায় হইল জানা জানি
কোথায় না কি হারিয়ে গেছে মজনু মিয়ার নানি।
কেউ বা খুঁজে নদীর ঘাটে কেউ বা কুসুম বাগে
মজনু মিয়া পাগল হয়ে চলছে সবার আগে।
সবাই মিলে খুঁজল সারা গাঁয়ের জলে স্থলে
পাইল না আর রানীর দেখা দু'দিন গেল চলে।
সবাই কাঁদে মিষ্টি রানীর মিষ্টি স্মৃতি লয়ে
বাপ মা তাহার পড়ে আছে স্তব্ধ পাথর হয়ে।
মজনু মিয়ার দু চোখ বেয়ে ঝরছে নোনা পানি
মুখে তাহার একই বিলাপ হায় নানি হায় নানি!
এমন সময় কইল এসে ছোট্ট শিশু তোতা
গাঙ্গে না কি ভাইসা আছে রানীর পায়ের জুতা।
সবাই তখন দৌড়ে গিয়ে দেখে নদীর কাছে
ঝোপের ভিতর রানীর পঁচা লাশটা পড়ে আছে।
এমন করে রানীর জীবন হইল যখন শেষ
তখন থেকে মজনু নানাও হইল নিরুদ্দেশ।
মেয়ে শিশু দেওয়ার আগে পুরুষ লোকের কোলে
দয়া করে এই ঘটনা কেউ যেওনা ভুলে ।
এই কবিতার গল্প এবং চরিত্রের নাম কাল্পনিক।
https://www.facebook.com/100077505699680/posts/565187256074793/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
No comments:
Post a Comment