Sunday, November 10, 2024

A father advised his son

 A father advised his son:

"Son, in your life, never give up on three things: eating the best food, sleeping in the most comfortable bed, and living in the finest home."
The son replied, "But we're poor. How can I achieve that?"
The wise father responded, "If you eat only when you're truly hungry, what you eat will become the best food for you.
If you work hard and rest well, even a modest bed will feel like the best one.
And if you treat others with kindness, you’ll find a place in their hearts, and thus, you'll live in the most cherished home."

Saturday, November 9, 2024

সময় থাকতে জীবিত মা বাবার যত্ন নিন

 ১০ বছরের বাচ্চাটি বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ বিক্রি করে।একদিন একটা বাড়ির সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজালো।

মালকিন:বাইরে এসে...কি ব্যাপার?
বালক:বলছিলাম আন্টি,আপনার বাগানটি কি পরিস্কার করে দেবো?
মালকিন:না না কোন দরকার নেই,আর আজ সকালে তুই খবরের কাগজ দিয়ে যাসনি কেন?
বালক:- 🙏হাত জোর করে করুন স্বরে প্লিজ আন্টি করিয়ে নিন না,খুব ভালো করে বাগানটা সাফ করে দেবো,আর আজকে কাগজ ছাপা হয়নি,কাল স্বাধীনতা দিবসের ছুটি ছিল।
মালকিন :একটু নরম সুরে...আচ্ছা ঠিক আছে,কতো টাকা নিবি?
বালক:টাকা লাগবে না আন্টি,শুধু খাবার দিলেই হবে।
মালকিন:ওহ, ঠিক আছে যা,খুব ভালো করে পরিস্কার করবি কিন্তু।(মনে হচ্ছে বেচারা আজ কিছু খাইনি,আগে ওকে কিছু খাওয়ানো দরকার...মালকিন চিন্তা করল)
মালকিন:এই ছেলে..এদিকে আই,আগে তুই খেয়ে নে,তারপর কাজ করিস।
বালক:না আন্টি আগে কাজ করে নিই তারপর খাবো।
মালকিন:আচ্ছা বেশ...এই বলে নিজের রুমে ঢুকলেন।
বালক:২ ঘন্টা পর "আন্টি,ও আন্টি,দেখুন না ঠিকঠাক সাফাই হয়েছে কিনা?
মালকিন :আরে বাহ্!তুই তো বাগানের আশপাশ
গুলোও ভালো করে সাফ করে দিয়েছিস।এখানে এসে বস,আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসছি।
মালকিন খাবার দিতেই বালকটি পকেট থেকে একটা পলিথিন বের করে তার মধ্যে খাবারগুলো ঢোকাতে শুরু করল।
মালকিন:পেটে প্রচুর খিদে নিয়ে কাজ করলি, খাবারটা তো এখানেই খা,লাগলে আরও দেবো।
বালক:না আন্টি,বাড়িতে মা আছে,খুব অসুস্থ।সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রিতে ওষুধ পাওয়া গেছে কিন্তু ডাক্তারবাবু খালি পেটে ওষুধ খেতে বারন করেছেন।
একথা শুনে মালকিনের চোখ ভিজে গেল।নিজের হাতে মাসুম বাচ্চাটিকে মায়ের মতো করে খাইয়ে দিলেন।তারপর বাচ্চাটির হাতে মায়ের জন্য খাবার তুলে দিয়ে নিজেও সঙ্গে গেলেন এবং বাচ্চাটির মায়ের সাথে দেখা করলেন।
মালকিন:বোন তুমি সবার চেয়ে ধনী আর ভাগ্যবান.... যে সংস্কার,যে শিক্ষা,যে দৌলত তুমি তোমার সন্তানকে দিয়েছো,সেই সংস্কার আমি সেই দৌলত আমি আমার সন্তানদের দিতে পারিনি।
অসুস্থ_মা_ছেলের পানে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল...
ছেলে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরলো.....
শিক্ষনীয় হচ্ছে - ইচ্ছে করলেই বাবা মাকে খাওয়ানোর ভাগ্য সবার থাকে না। এর জন্য ভাগ্য লাগে। কাজেই সময় থাকতে জীবিত মা বাবার যত্ন নিন নিজেকে ভাগ্যবান করে তুলুন🌿
সংগৃহীত এবং কিছুটা পরিমার্জিত।

source: https://www.facebook.com/100008245956620/posts/3841373942814100/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বোঝা মনে হয়

 বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বোঝা মনে হয় ৷

কালি ফুরিয়ে গেলে কলমটাও আবর্জনার ঝুড়িতে জমা হয়। বাসি হয়ে গেলে প্রিয়জনের দেয়া ফুলটাও পরদিন ডাস্টবিনে পাওয়া যায়।
পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলো আপনার উপকারের কথা মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না। জীবনের সবচেয়ে নিদারুণ বাস্তবতা হলো, কার কাছে আপনি কতদিন প্রায়োরিটি পাবেন, সেটা নির্ভর করবে কার জন্য কতদিন কিছু একটা করার সামর্থ্য আছে তার উপর আর হ্যা এটাই সত্য।
এই বাস্তবতা আপনি মানলেও সত্যি, না মানলেও সত্যি। আজ সকালে যে পত্রিকার দাম ১০ টাকা, একদিন পর সে একই পত্রিকার ১ কেজির দাম ১০ টাকা। হাজার টাকা খরচ করে একাডেমিক লাইফে বছরের শুরুতে যে বইগুলো গুরুত্ব দিয়ে কিনেন, বছর শেষে সেই বইগুলোই কেজি মাপে বিক্রি করে দেন।
সময় ফুরিয়ে গেলে এভাবেই মূল্য কমতে থাকে সবার, সবকিছুর। আমরা আপাদমস্তক স্বার্থপর প্রাণী। ভিখারিকে ২ টাকা দেয়ার আগেও মানুষ চিন্তা করে কতটুকু পূণ্য অর্জন হবে। বিনা স্বার্থে কেউ ভিক্ষুককেও ভিক্ষা দেয় না৷
এতকিছুর পরও চলুন একটু হেসে কথা বলি।
রাগটাকে কমাই। অহংকারকে কবর দেই।
যদি সুখী হতে চান তবে প্রত্যাশা কমান।
আপনি কারো জন্য কিছু করে থাকলে সেটা চিরতরে ভুলে যান। কারণ সেটা যতদিন আপনি মনে রাখবেন ততদিন সেটা আপনাকে অহংকারী করে তুলবে।
আবার কেউ যদি আপনার জন্য খুব ছোট কিছুও করে থাকে, তবে সেটা আজীবন মনে রাখবেন। কারণ এটা আপনাকে বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।

source: https://www.facebook.com/61553443407853/posts/122164494974114780/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

জাল মানুষ

 মতিউর রহমান সবে সন্ধ্যার নাস্তা শেষ করে চায়ে চুমুক দিয়েছেন। ঠিক এমন সময় কলিং বেল বেজে ওঠে। নিজেই উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখেন শুচিতাকে ইংরেজি পড়ায় যে ছেলেটা সে এসেছে। রোগা কালোমতো চেহারা, নীল চেকের উপর ফুলহাতা শার্ট কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে রাখা। ছেলেটার নাম মাইনুদ্দিন, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজিতে পড়ে। খুব ভালো নাকি পড়ায়। মতিউর ওর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শুচিতার জন্য একজন ভালো ইংরেজি শিক্ষক খুঁজছিলেন। তখন অফিসের একজন মাইনুদ্দিনের খোঁজ দেয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুনে নাক কুঁচকে বলেছিল, ঢাকা ইউনিভার্সিটির কাউকে পেলে ভালো হতো। তাই নিমরাজি হয়ে তখনকার মতো ছেলেটাকে রেখেছিল। ভেবেছিল, ভালো কাউকে পেলে ছাড়িয়ে দেবে। কিন্তু মাসখানেক যেতেই শুচিতা নিজ থেকেই বলছিল মাইনুদ্দিন নাকি খুব ভালো পড়ায়। এরপর আর নতুন করে ইংরেজির শিক্ষক খুঁজতে হয়নি মতিউরর।

ছেলেটা ভালো, একটু বামপন্থী। মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে দেশ নিয়ে কথাবার্তা হয়। ওর কথা শুনে মনে হয় সমসাময়িক বিষয়ে ওর বিস্তর পড়াশোনা। কথা বলে আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু গত সপ্তাহে একটা বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাগ হয়েছিল খুব। দেশের ভবিষ্যৎ কী তাই নিয়ে জিগ্যেস করতেই ছেলেটা বেশ তেড়িয়াভাবে বলছিল, আংকেল, এই দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আপনি দেখেন, সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত। এদের বেশির ভাগেরই আয়ের সঙ্গে সম্পদের মিল নেই।
সব চোর। হাজার কোটি টাকা লোপাট করে দেশটাকে ফুটো করে দিচ্ছে। এই চোরদের ধরে বিচার না করলে দেশ শেষ।
তা কথাগুলো সত্যি হলেও মতিউরের গা জ্বালা করছিল। ছেলেটা কি ইচ্ছে করেই ওকে সেদিন কথাগুলো শোনাল? মতিউর নিজে একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তার আয়ের সঙ্গে বনশ্রীর এই বাইশ স্কোয়ারের বাসা যায় না। মতিউর উত্তরে বলার চেষ্টা করেছিল, সবাই অমন না। আর কাজে গতি আনতে গেলে মাঝে মাঝে অমন করতে হয়। তাতে ছেলেটা যেন আরও ক্ষেপে গেল। বলল, অন্যায়কে কখনোই কোনো যুক্তি দিয়ে ন্যায় বলা যাবে না।
সেদিন থেকে মতিউরের মেজাজ একটু খাপ্পা হয়ে আছে। এই ছেলে নিজেকে যুধিষ্ঠির মনে করে। সুযোগ পেলে এই দেশের সবাই যে অসৎ সেটা ওর চেয়ে ভালো আর কে জানে।
ওকে দেখে সালাম দেয়, 'আংকেল, আসসালামু আলাইকুম।'
মতিউর গম্ভীরমুখে সালাম নেয়। তারপর গলা তুলে মেয়েকে ডাকেন, 'শুচিতা, তোর টিচার এসেছে।'
শুচিতা মাত্রই বাইরে থেকে ম্যাথ পড়ে বাসায় এসেছে। আম্মুর রুমে এসে একটু শুয়েছিল।
এখুনি স্যার এল? ও উঠে হাত মুখ ধুয়ে চুল ঠিক করে। তারপর বেরিয়ে এসে বাবাকে দেখে কাছে এসে নিচু গলায় বলে, 'বাবা, মাইনুদ্দিন ভাইয়ার টাকাটা দিয়ে দিও। আজ কিন্তু দশ তারিখ।'
মতিউর অবাক গলায় বলে, 'কী বলিস! আগে মনে করাবি তো। আচ্ছা তুই যা, আমি দিচ্ছি।'
টিউশনির টাকা এক-দুই তারিখেই দিয়ে দেয় মতিউর। এবারই এমন দেরি হলো। শুচিতা ওর রুমে যেতেই মতিউর উঠে দাঁড়ায়।
মমতাজ মাগরিবের নামাজ শেষ করে জায়নামাজ ভাঁজ করছিল। মতিউর রুমে ঢুকে বলে, 'আট হাজার টাকা দাও তো। সেদিন যে বান্ডিলটা দিলাম ওখান থেকে দিও।'
মতিউর মাঝে মাঝেই এমন টাকার বান্ডিল এনে মমতাজের হাতে দেন। সেগুলো নিরাপদে রাখাই মমতাজের কাজ। মাঝে মাঝে রাগ হয়, 'টাকা ব্যাংকে রাখতে পারো না? এত টাকা ঘরে নিয়ে আসো কেন?'
মতিউর তখন চুপ থাকেন। কী করে বলেন যে এই টাকা ব্যাংকে রাখা যাবে না। তাতে করে ট্যাক্সের লোক পিছনে পড়বে।
মমতাজ টাকা বের করে হাতে দিতেই মতিউর একবার ভালো করে গুনে। এক হাজার টাকার আটটা নোট হবার কথা, কিন্তু মমতাজ নয়টা নোট বের করেছে। আরেকবার গুনে নিশ্চিত হন, নয় হাজার টাকা। বিরক্তি নিয়ে বলেন, 'টাকাটাও গুনতে পারো না? একটা নোট বেশি আসছে।'
এক হাজার টাকার বাড়তি নোটটা ফিরিয়ে দিতে গিয়েও থমকে যান। কী যেন ভাবেন, ঠোঁটের কোণে একটা মৃদু হাসি ফোটে। তারপর বলেন, 'থাক, নয় হাজারই লাগবে।'
মতিউর নয় হাজার টাকার নোটগুলো বিছানায় পাশাপাশি বিছিয়ে রাখেন। তারপর মোবাইল বের করে টাকাগুলোর ছবি তুলেন। তারপর ছবিটা জুম করে দেখেন, হ্যাঁ, এখানে যে নয়টা নোট আছে বোঝা যাচ্ছে। এমনকি নোটের নম্বরও বোঝা যাচ্ছে।
মমতাজ অবাক চোখে মতিউরের কান্ডকারখানা দেখছিল। লোকটা টাকার ছবি তুলছে কেন?
মতিউর টাকাগুলো এবার ভাঁজ করে একটা খামে ঢুকিয়ে স্ট্রাপলার পিন দিয়ে আটকে দেন। টাকাগুলো রাখার সময় সেটা ভিডিও-ও করেন। তারপর বিড়বিড় করে বলেন, এবার দেখা যাক কত সৎ মানুষ তুমি।
শুচিতার রুমের সামনে আসতেই দেখেন মাইনুদ্দিন হাত নেড়ে নেড়ে কী যেন বোঝাচ্ছিল। বাইরে থেকে ওর পড়ানোর শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। মতিউর গলাখাঁকারি দিয়ে ভেতরে ঢোকে। তারপর নরম গলায় বলে, 'এবার দেরি হয়ে গেল। এই নাও তোমার এই মাসের বেতন।'
মাইনুদ্দিন হাত বাড়িয়ে খামটা নেয়। এই লোকটা টাকা দেবার সময় ইচ্ছে করে 'বেতন' শব্দটা বলে যেন ও মতিউরের কর্মচারী।
মাইনুদ্দিন খামটা পকেটে রাখতে রাখতে বলে, 'আংকেল, আমি তো আপনার এখানে চাকরি করি না যে আপনি আমাকে বেতন দেবেন। এটা আমার সম্মানী বলতে পারেন।'
মতিউরের মুখ চোখা হয়ে যায়। চোখ সরু করে বলে, 'ওহ, তাই বুঝি? আমরা পুরান আমলের মানুষ তো, অতশত বুঝি না। তা টাকাটা গুনে নাও।'
মাইনুদ্দিন আশ্বস্ত করে বলে, 'গুনতে হবে না। আপনি নিশ্চয়ই কম দেন নি।'
মতিউর মনে মনে খুশি হয়। এখন না গুনলেই ভালো। ইচ্ছে করেই আট হাজারের জায়গায় আজ নয় হাজার টাকা দিয়েছে। দেখা যাক, কাল এসে বাড়তি এক হাজার টাকা ফেরত দেয় কিনা। তখন বোঝা যাবে কতটা সৎ মানুষ।
একটা সপ্তাহ কেটে যায়। এর মাঝে মাইনুদ্দিন দু'বার এসেছে। কিন্তু বাড়তি টাকা নিয়ে টুঁশব্দ করেনি। মতিউর সময় নেন, তাড়াহুড়ো করেন না। যত দিন গড়ায় মনের ভেতর একটা প্রতিশোধের আনন্দ টের পান। কী সৎ একজন মানুষ, বাড়তি এক হাজার টাকার লোভই ছাড়তে পারল না? এরা যখন ওর মতো চাকরি করবে তখন ওর চেয়েও বেশি টাকা সরাবে। সবাই এক, টাকার কাছে সব ব্যাটাই নতজানু।
যখন দু'সপ্তাহ পার হয়ে যায় তখন একদিন শুচিতার পড়া শেষে মতিউর মাইনুদ্দিনকে বসতে বলে, 'একটু বোসো। তোমার সঙ্গে কথা আছে।'
মাইনুদ্দিন হাতঘড়ির দিকে তাকায়, 'আংকেল, আমার আরেকটা টিউশনে যেতে হবে। আপনার কি খুব বেশি সময় লাগবে?'
মতিউর মাথা নাড়ে, 'না, এই পাঁচ মিনিট লাগবে।'
মাইনুদ্দিন বসতেই মতিউর গলাখাঁকারি দিয়ে বলে, 'মাইনুদ্দিন, তোমাকে যে সেদিন খামে করে টিউশনির টাকা দিলাম সেটা গুনে দেখেছিলে? টাকা ঠিকঠাক ছিল?'
মাইনুদ্দিন গম্ভীরমুখে বলে, 'না আংকেল। এক হাজার টাকা কম ছিল।'
মতিউর ভ্রু কুঁচকে তাকায়। ওরে মিথ্যাবাদী! মুখে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটিয়ে বলে, 'তুমি ঠিকঠাক গুনেছিলে? আমার কাছে কিন্তু টাকার ছবি আছে, নম্বর সহ। টাকা খামে ভরার ভিডিও-ও আছে।'
কথা শেষ করে মোবাইল বের করেন। তারপর ছবি আর ভিডিও দেখিয়ে বলেন, 'সেদিন আমি তোমকে নয় হাজার টাকা দিয়েছিলাম। ইচ্ছে করেই একটা নোট বেশি দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম পরদিন এসে তুমি বাড়তি টাকাটা ফেরত দেবে। নিজে যে এত নীতির কথা বলো, কিন্তু মোটে একটা হাজার টাকার লোভ ছাড়তে পারলে না। উলটে বলছ এক হাজার টাকা কম ছিল? আমার মতো চাকরিতে ঢুকলে তো তুমি দেশ বেঁচে দেবে।'
কথাগুলো বলে বেশ একটা আত্মতৃপ্তি পান মতিউর। সেদিনের অপমানের শোধ নেওয়া হয় দারুণভাবে।
মাইনুদ্দিন একবার ভেতরের রুমের দিকে তাকায়৷ দরজার পর্দায় কারও ছায়া দেখা যাচ্ছে। শুচিতা হয়তো শুনছে সব।
মাইনুদ্দিন একটা লম্বা নিশ্বাস নেয়, তারপর পকেট থেকে মোবাইল বের করে একটা ছবি দেখিয়ে বলে, 'আংকেল, দেখুন তো এই নোট দুটো আপনি দিয়েছিলেন কিনা? আপনার মোবাইলের সঙ্গে এই এক হাজার টাকার নোট দুটো মিলিয়ে দেখেন।'
মাইনুদ্দিন ভ্রু কুঁচকে ওর মোবাইল নেয়। তারপর টাকার নম্বর মিলিয়ে বলে, 'হ্যাঁ, এই নোট দুটো আমি দিয়েছিলাম। এমন মোট নয়টা এক হাজার টাকার নোট ছিল। বাকি সাতটা কই?'
মাইনুদ্দিন ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে বলে, 'বাকি সাতটা নোট খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু এই দুটো নোট খরচ করতে পারিনি। কারণ এই দুটো এক হাজার টাকার নোট জাল ছিল। আমি খামে টাকা বেশি দেখে বুঝেছিলাম আপনি ভুল করে একটা নোট বেশি দিয়েছেন। ভেবেছিলাম পরদিন যখন পড়াতে যাব টাকাটা ফেরত দেব। কিন্তু এর আগেই ব্যাংকে আপনার দেওয়া টাকা থেকে আট হাজার টাকা জমা দিতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধে। ওরা বলল দুটো নোট জাল। পারলে তো আমাকেই তখন পুলিশে দেয়। অনেক কষ্টে সবাইকে বুঝিয়েছি যে টাকাগুলো আমি টিউশনি যেখানে করি সেখান থেকে পেয়েছি। কিন্তু ঠিক কোন বাসা থেকে পেয়েছি মনে নেই। আমি নোটগুলোর ছবি তুলে রেখেছিলাম। আপনি আংকেল আমাকে নয়টা নোটের মধ্যে দুটো নোট জাল দিয়েছেন। তাই এই মাসে আমি আট হাজারের জায়গায় সাত হাজার টাকা পেয়েছি।'
মতিউর তোতলানো গলায় বলে, 'কী বলছ এসব! আমি তোমাকে জাল নোট দেব কেন? কই দেখি, ছবিগুলো আবার।'
মতিউর আবার ছবিগুলো মিলিয়ে দেখেন। আরে, সত্যিই তো এগুলো ওর দেওয়া নোট। কিন্তু জাল টাকা এল কোথা থেকে? হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায়, যে বান্ডিল থেকে টাকাটা বের করেছিল সেটা এস আলম নামে একজন সাপ্লায়ার দিয়েছিল। ওদের একটা বিলের কাগজ ওর টেবিলে আটকে ছিল। মানে ও আটকে রেখেছিল। তখন এক বান্ডিল এক হাজার টাকার নোট দিয়ে ওরা বিল পাশ করে নিয়ে গিয়েছিল। ওরে বদমাশ এস আলম, তুই আমারে আসল টাকার সাথে জাল টাকা মিলিয়ে দিয়েছিস। কত অসৎ হতে পারে মানুষ!
মতিউর শুকনো মুখে বলে, 'আসলে আমি যার কাছ থেকে টাকা পেয়েছিলাম সেই ব্যাটা এই কাজ করেছে। দেখেছ, মানুষ কত অসৎ হয়ে গেছে। কাউকে বিশ্বাস করতে নেই।'
মাইনুদ্দিন বাঁকা হাসি হেসে বলে, 'জি আংকেল। কাউকে বিশ্বাস করতে নেই। মাঝে মাঝে আপনার মতো একটা নোট বেশি দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হয়।'
মতিউর লজ্জায় মাটিতে মিশে যায়। আমতাআমতা করে বলে, 'আরে না না, তুমি আমাকে ভুল বোঝ না। আসলে আমি ছোট্ট একটা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলাম তুমি আসলে মুখে যেমন নীতির কথা বলো অন্তরে তাই কিনা।'
মাইনুদ্দিন মিটিমিটি হেসে বলে, 'তা আমাকে কী মনে হলো আপনার?'
মতিউর বিগলিত হেসে বলে, 'না, তুমি একদম ঠিক আছ। কিন্তু একটা খটকা রয়েই গেল।'
মাইনুদ্দিন সামনে ঝুঁকে এসে জিজ্ঞাসু গলায় বলে, 'কী খটকা?'
মতিউর বিজ্ঞের মতো বলে, 'ধরলাম আমি তোমাকে দুটো নোট জালই দিয়েছি৷ কিন্তু সেটা পরে এসে তুমি বললে না কেন?'
মাইনুদ্দিন হাসে, তারপর বলে, 'আসলে আমি ভেবে দেখলাম জাল টাকা তো আপনি ইচ্ছে করে আমাকে দেননি। কেউ নিশ্চয়ই আপনাকে ঠকিয়ে দিয়েছে। আর দেখলাম আমি মোটে এক হাজার টাকা কম পেয়েছি। তাই আর ইচ্ছে করে বলিনি ব্যাপারটা। আমার মনে হয়েছে জাল টাকার দোষটা তো আপনার না।'
মতিউরের মনে হয় সামনে বসে থাকা বয়সে অনেক ছোট এই ছেলেটার কাছে ওর অনেক কিছু শিখবার আছে।
মতিউর পকেট থেকে এক হাজার টাকার একটা নোট বের করে বলে, 'এই নাও তোমার সম্মানীর এক হাজার টাকা। এরপর এমন হলে আমাকে অবশ্যই বলবে।'
মাইনুদ্দিন টাকাটা পকেটে ঢুকিয়ে উঠে দাঁড়ায়, তারপর বলে, 'আপনিও এরপর কেউ টাকা দিলে ভালো করে পরখ করে নেবেন। আমার মতো বিশ্বাস করে নিলে ঠকবেন। মানুষ আর আসল নেই, জাল নোটের মতো জাল মানুষে ভরে গেছে চারপাশ।'
মাইনুদ্দিন চলে যায়। মতিউর বিহবল দৃষ্টিতে ওর চলে যাবার পথের দিকে তাকিয়ে থাকে। কেন যেন মনে হয় ছেলেটা ওকে জাল মানুষ বলে গেল।
©মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস*

source: https://www.facebook.com/100067536807109/posts/874401048154447/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

Saturday, September 28, 2024

বল্টু

 ●বল্টু : আমার একটা সমস্যা হচ্ছে।

ডাক্তার : কি..?
বল্টু : যখন যার সাথে কথা বলি তাকে
দেখতে পাইনা।
ডাক্তার : কখন এরকম হয়..? বল্টু: যখন
ফোনে কথা বলি।



.
●খুব মশা কামড়াচ্ছে বলে রেগে
গিয়ে বল্টু বিষ খেয়ে
নিলেন। ....বললেন, নে এবার রক্ত খা,
খেলেই মরবি। .
●জেলকর্তা : কাল তোমার ভোর ৫
টায় ফাঁসি হবে।
এটা শুনে বল্টু হেসে ফেললেন।
জেলকর্তা : হাসছ কেন..?
বল্টু : আরে ধুর !
আমি সকাল ৯ টার আগে উঠিই না। .
●বল্টু সবজি কিনতে বাজারে
গেছেন.....
সবজি ওয়ালা সবজির ওপর জল
ছেটাচ্ছিলেন। তা দেখে বল্টু
কিছুক্ষণ চুপ করে দাড়ালেন। একটু পরে
বললেন, ''ওদের জ্ঞান যদি ফিরে
আসে, থাহলে ওখান থেকে এক
কিলো দিয়েন
তো।"
.
●বল্টু এটিএম থেকে টাকা তুলছিলেন।
পিছন থেকে আরেকজন বললেন,
"হে...হে ! আমি
আপনার পাসওয়ার্ড দেখে নিয়েছি,
ওটা হলো চারটে অ্যাসটেরিকস (****)
বল্টু : 'হাহা ! আপনি ভুল,
ওটা হলো ২৭৮৬'
.
●পুলিশ : আপনি বিবাহিত..? বল্টু : হ্যা,
একজন মহিলার সাথে। পুলিশ : আরে !
সেতো বটেই, কেউ কি ছেলের
সাথে বিয়ে করে নাকি..? বল্টু : হ্যা
,করেছে তো ! আমার বোন।
.
●হাসপাতালে নার্স : অভিনন্দন,
আপনার ঘরে ছেলে হয়েছে। বল্টু :
আরিবাবা ! কি টেকনোলজির যুগ,
বিবি
হাসপাতালে আর আর ছেলে ঘরেই
হলো । .
●বল্টু একটা মাছির ডানা কেটে
দিয়ে তাকে উড়তে বললেন, কিন্তু
মাছি উড়ল না।
বল্টু : তাহলে এখান থেকে প্রমানিত
হলো যে, ডানা কেটে দিলে মাছি
শুনতে পায় না।
.
●ম্যারাথন দেখতে গিয়ে বল্টু : আচ্ছা
এত লোক দৌড়াচ্ছে কেন..? ব্যক্তি :
এটা ম্যারাথন হচ্ছে, সবাই দৌড়াচ্ছে,
চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পাবে। বল্টু : শুধু
চ্যাম্পিয়নই যদি পুরস্কার পায়, তাহলে
বাকিরা দৌড়চ্ছে কেন..?
.
●বল্টু একটা পিজ্জা অর্ডার
দিয়েছেন।
বেয়ারা : স্যার, এটাকে আট পিস করব,
না চার পিস..?
বল্টু : চারই করে দে, আটটা বড্ড বেশি
হয়ে যাবে, খেতে পারব না...।।

আমার আমি - কামরুন নাহার মিশু

 একদিন মেয়ের বাবা রাতের ১১টায় বাসায় ফিরলেন হাতে করে দুটো বার্গার নিয়ে।

এসেই হাসিমুখে জানান দিলেন রাতে ভাত খাবেন না। তিনি রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েই এসেছেন। আসার সময় বাচ্চাদের জন্য বার্গার নিয়ে এলেন।
আমি কোনো মতামত বা আনন্দ উচ্ছাস কিছুই ব্যক্ত না করে নির্বিকার ভঙ্গিতে প্যাকেট খুলে একটা বার্গার নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। যদিও বার্গার খাবারটা আমার বাচ্চাদের যতটা পছন্দ আমার ততটা নয়।
তারপরও আমি খাচ্ছিলাম। কারণ আমি চাইনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক।
খুব ছোটবেলায় দেখতাম আমার আব্বা কোনো খাবার কোনো উপহার বা যে কোনো জিনিস আমাদের চার ভাই বোনদের জন্য কিনতেন। আমার মায়ের জন্য কিনতেন না।
যেমন তিনি দোকান থেকে চারটা আইসক্রিম, চার প্যাকেট চিপস আমাদের চার ভাই -বোনের জন্য কিনতেন। অথচ বাসায় আমরা পাঁচজন মানুষ থাকতাম।
আমার মা হাসি মুখে চিপসের প্যাকেট খুলে আমাদের হাতে দিতেন। আইসক্রিম হাত থেকে পড়ে নস্ট হয়ে যাবার ভয়ে আমাদের গাইড করতেন পিছন থেকে খাও, সামনে থেকে খাও!
জানি না আমার মায়ের খেতে ইচ্ছে করত কি-না! না করার তো কথা নয়। তিনি গৃহবধূ। সারাক্ষণ আমাদের সাথে ঘরেই থাকতেন। নিজের হাতে বানানো খাবারই খেতেন। কখনো তো একা একা বাইরে যাননি বা নিজের ইচ্ছের প্রতিফলন করেননি।
আপনি যখন চারটা কিনতে পেরেছেন, তখন পাঁচটাও কিনতে পারতেন। তার মানে স্বদিচ্ছার অভাব ছিল।
পুরুষ জাতি ধরেই নিয়েছে, মেয়েদের খেতে হয় না।
আমার সংসারে কিন্তু আমি এটা হতে দেইনি। মেয়ের বাবা দুইটা ওয়েফার আনলে তার সামনে একটা খুলে আমি খাওয়া শুরু করতাম। যদিও খেতাম না।
তাকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। বাসায় আমরা তিনজন থাকি যে কোনো খাবার তিনটাই আনবা। ঐ জিনিস আমি না খেলে বিকল্প আরেকটা আনবা যেটা আমি খাই।
কারণ আমিও মানুষ। আমারও পছন্দ আছে, ইচ্ছে আছে, অনুভুতি আছে। বছরের পর বছর তোমার সংসারে গাছের গুঁড়ি হয়ে পড়ে থাকব?
তুমি যদি আমাকে না বুঝ তাহলে তো কেউই বুঝবে না।
একটা মেয়ের বিয়ের আগের সকল আবদার থাকে বাবা মার কাছে। বিয়ের পরে থাকে স্বামীর কাছে। বাবা- মার কাছে যতটা প্রাণ খুলে আবেগ প্রকাশ করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বামীর কাছে যায় না। স্বামী নামক প্রিয়জনকেই সেটা বুঝে নিতে হয়।
আমার আব্বা কারো বাড়ি গিয়ে এককাপ চাও খেতেন না আমাদেরকে ছাড়া। তিনি ভীষণভাবে চাইতেন তিনি যেখানেই দাওয়াত খেতে যান যেন আমরা চার ভাই-বোনও সেখানে যেতে পারি। কোনো কারণে আমাদেরকে ছাড়া যেতে হলে, তিনি বাড়ি ফিরেই আমাদেরকে নিয়ে হোটেলে চলে যেতেন। সেইম খাবার আমাদের খাইয়ে আনতেন। অথচ আমার মাকে নিয়ে তাঁর তেমন কোনো ভাবনা ছিল না।
আমাদের যৌথ পরিবার ছিল। আব্বা শাড়ি কিনলে পাঁচটা কিনতেন। তিন ফুফুর জন্য তিনটা, মায়ের জন্য একটা, দাদীর জন্য একটা। দাদীকে দেয়ার জন্য তাঁর আরও সন্তান ছিলেন। ফুফিদের স্বামী ছিলেন। কিন্তু আমার মায়ের স্বামী ছাড়া আর কেউ ছিল না।
দিন শেষে আমার মাই ঠকত।
অথচ আমিও যৌথ পরিবারে থাকি। কন্যার বাবাও সেইম কাজ করেন। একদিন ড্রেস আনার পর আমি পাঁচটাই রেখে দিয়েছি। তাকে বললাম ' ভাবীদেরকে কাল এনে দিও। আমার পাঁচটাই পছন্দ হয়েছে।' সে চোখ বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।
আমি মনেমনে বলছি, ইচ্ছে হলে চোখ বের করে ফেল। আমি তোমার স্ত্রী। তোমার উচিত কিছু পোষাক সবাইকে গিফট করা ছাড়াও আমার জন্য কেনা।
তুমি যখন সেটা বুঝতে পারনি। আমিই চোখ গেলে বুঝিয়ে দিলাম।
বাচ্চার বাবা কখনো ওদেরকে নিয়ে কোথাও যায় না। কখনো যাবেও না। প্রতি সপ্তাহে দুটো- চারটা দাওয়াত থাকে। দুপুরবেলা বেশির ভাগ সময় বাইরেই খান।
একদিন এত মেজাজ খারাপ হলো। যখন শুনলাম একটা দাওয়াতে সবার পরিবার ছিল। শুধু তিনি একা ছিলেন। ঐ দিনই আমি কারো অনুমতি না নিয়েই রেডি হয়েই বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাইর থেকে ঘুরে এলাম। বাচ্চাদেরকে রেস্টুরেন্ট থেকে খাইয়ে আনলাম।
নারীদের জীবন কখনো মসৃন হয় না। এ জীবনের পরতে পরতে বন্ধুরতা। কেউ আপনার ইচ্ছে, অনিচ্ছের মূল্য দিবে না। আপনার জায়গা আপনাকেই করে নিতে হবে। হয় বুদ্ধি দিয়ে না হয় বিচক্ষণতা দিয়ে।
কারণ অধিকাংশ পুরুষ তো নারীদের মানুষই মনে করে না।

source: https://www.facebook.com/100090898814748/posts/459574353749188/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

রানীর জীবন কাহিনী

ফেরদৌস আহমেদ 


পাঁচ বছরের ছোট্ট খুকি নাম হল তার রানী

পাশের বাড়ির মজনু মিয়া ডাকে তারে নানি।
রানী না কি দেখতে তাহার মরা নানির মত
মজনু মিয়া তাই রানীরে আদর করে এত!
আদর কইরা তাই রানীরে লইয়া যায় সে হাটে
এটা সেটা মজা খাওয়ায় সোহাগ চুমু কাটে।
মাঝে মাঝে কান্ধে নিয়া গাঁয়ের পথে ঘোরে
গোসল করতে নদীর ঘাটে যায় সে নিয়ে ক্রোড়ে।
রানীর জন্য নিয়ে আসে নিজের গাছের কলা
খেলনা আনে আশে পাশে হইলে কোথাও মেলা।
হঠাৎ সেদিন দিনের শেষে সন্ধ্যা নামার পরে
বাপ মা দেখে তাদের রানী ফিরছে না আর ঘরে।
এক নিমিষে পাড়ায় পাড়ায় হইল জানা জানি
কোথায় না কি হারিয়ে গেছে মজনু মিয়ার নানি।
কেউ বা খুঁজে নদীর ঘাটে কেউ বা কুসুম বাগে
মজনু মিয়া পাগল হয়ে চলছে সবার আগে।
সবাই মিলে খুঁজল সারা গাঁয়ের জলে স্থলে
পাইল না আর রানীর দেখা দু'দিন গেল চলে।
সবাই কাঁদে মিষ্টি রানীর মিষ্টি স্মৃতি লয়ে
বাপ মা তাহার পড়ে আছে স্তব্ধ পাথর হয়ে।
মজনু মিয়ার দু চোখ বেয়ে ঝরছে নোনা পানি
মুখে তাহার একই বিলাপ হায় নানি হায় নানি!
এমন সময় কইল এসে ছোট্ট শিশু তোতা
গাঙ্গে না কি ভাইসা আছে রানীর পায়ের জুতা।
সবাই তখন দৌড়ে গিয়ে দেখে নদীর কাছে
ঝোপের ভিতর রানীর পঁচা লাশটা পড়ে আছে।
এমন করে রানীর জীবন হইল যখন শেষ
তখন থেকে মজনু নানাও হইল নিরুদ্দেশ।
মেয়ে শিশু দেওয়ার আগে পুরুষ লোকের কোলে
দয়া করে এই ঘটনা কেউ যেওনা ভুলে ।


এই কবিতার গল্প এবং চরিত্রের নাম কাল্পনিক।

https://www.facebook.com/100077505699680/posts/565187256074793/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

A father advised his son

  A father advised his son: "Son, in your life, never give up on three things: eating the best food, sleeping in the most comfortable b...