মতিউর রহমান সবে সন্ধ্যার নাস্তা শেষ করে চায়ে চুমুক দিয়েছেন। ঠিক এমন সময় কলিং বেল বেজে ওঠে। নিজেই উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখেন শুচিতাকে ইংরেজি পড়ায় যে ছেলেটা সে এসেছে। রোগা কালোমতো চেহারা, নীল চেকের উপর ফুলহাতা শার্ট কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে রাখা। ছেলেটার নাম মাইনুদ্দিন, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজিতে পড়ে। খুব ভালো নাকি পড়ায়। মতিউর ওর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শুচিতার জন্য একজন ভালো ইংরেজি শিক্ষক খুঁজছিলেন। তখন অফিসের একজন মাইনুদ্দিনের খোঁজ দেয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুনে নাক কুঁচকে বলেছিল, ঢাকা ইউনিভার্সিটির কাউকে পেলে ভালো হতো। তাই নিমরাজি হয়ে তখনকার মতো ছেলেটাকে রেখেছিল। ভেবেছিল, ভালো কাউকে পেলে ছাড়িয়ে দেবে। কিন্তু মাসখানেক যেতেই শুচিতা নিজ থেকেই বলছিল মাইনুদ্দিন নাকি খুব ভালো পড়ায়। এরপর আর নতুন করে ইংরেজির শিক্ষক খুঁজতে হয়নি মতিউরর।
ছেলেটা ভালো, একটু বামপন্থী। মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে দেশ নিয়ে কথাবার্তা হয়। ওর কথা শুনে মনে হয় সমসাময়িক বিষয়ে ওর বিস্তর পড়াশোনা। কথা বলে আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু গত সপ্তাহে একটা বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাগ হয়েছিল খুব। দেশের ভবিষ্যৎ কী তাই নিয়ে জিগ্যেস করতেই ছেলেটা বেশ তেড়িয়াভাবে বলছিল, আংকেল, এই দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আপনি দেখেন, সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত। এদের বেশির ভাগেরই আয়ের সঙ্গে সম্পদের মিল নেই।
সব চোর। হাজার কোটি টাকা লোপাট করে দেশটাকে ফুটো করে দিচ্ছে। এই চোরদের ধরে বিচার না করলে দেশ শেষ।
তা কথাগুলো সত্যি হলেও মতিউরের গা জ্বালা করছিল। ছেলেটা কি ইচ্ছে করেই ওকে সেদিন কথাগুলো শোনাল? মতিউর নিজে একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তার আয়ের সঙ্গে বনশ্রীর এই বাইশ স্কোয়ারের বাসা যায় না। মতিউর উত্তরে বলার চেষ্টা করেছিল, সবাই অমন না। আর কাজে গতি আনতে গেলে মাঝে মাঝে অমন করতে হয়। তাতে ছেলেটা যেন আরও ক্ষেপে গেল। বলল, অন্যায়কে কখনোই কোনো যুক্তি দিয়ে ন্যায় বলা যাবে না।
সেদিন থেকে মতিউরের মেজাজ একটু খাপ্পা হয়ে আছে। এই ছেলে নিজেকে যুধিষ্ঠির মনে করে। সুযোগ পেলে এই দেশের সবাই যে অসৎ সেটা ওর চেয়ে ভালো আর কে জানে।
ওকে দেখে সালাম দেয়, 'আংকেল, আসসালামু আলাইকুম।'
মতিউর গম্ভীরমুখে সালাম নেয়। তারপর গলা তুলে মেয়েকে ডাকেন, 'শুচিতা, তোর টিচার এসেছে।'
শুচিতা মাত্রই বাইরে থেকে ম্যাথ পড়ে বাসায় এসেছে। আম্মুর রুমে এসে একটু শুয়েছিল।
এখুনি স্যার এল? ও উঠে হাত মুখ ধুয়ে চুল ঠিক করে। তারপর বেরিয়ে এসে বাবাকে দেখে কাছে এসে নিচু গলায় বলে, 'বাবা, মাইনুদ্দিন ভাইয়ার টাকাটা দিয়ে দিও। আজ কিন্তু দশ তারিখ।'
মতিউর অবাক গলায় বলে, 'কী বলিস! আগে মনে করাবি তো। আচ্ছা তুই যা, আমি দিচ্ছি।'
টিউশনির টাকা এক-দুই তারিখেই দিয়ে দেয় মতিউর। এবারই এমন দেরি হলো। শুচিতা ওর রুমে যেতেই মতিউর উঠে দাঁড়ায়।
মমতাজ মাগরিবের নামাজ শেষ করে জায়নামাজ ভাঁজ করছিল। মতিউর রুমে ঢুকে বলে, 'আট হাজার টাকা দাও তো। সেদিন যে বান্ডিলটা দিলাম ওখান থেকে দিও।'
মতিউর মাঝে মাঝেই এমন টাকার বান্ডিল এনে মমতাজের হাতে দেন। সেগুলো নিরাপদে রাখাই মমতাজের কাজ। মাঝে মাঝে রাগ হয়, 'টাকা ব্যাংকে রাখতে পারো না? এত টাকা ঘরে নিয়ে আসো কেন?'
মতিউর তখন চুপ থাকেন। কী করে বলেন যে এই টাকা ব্যাংকে রাখা যাবে না। তাতে করে ট্যাক্সের লোক পিছনে পড়বে।
মমতাজ টাকা বের করে হাতে দিতেই মতিউর একবার ভালো করে গুনে। এক হাজার টাকার আটটা নোট হবার কথা, কিন্তু মমতাজ নয়টা নোট বের করেছে। আরেকবার গুনে নিশ্চিত হন, নয় হাজার টাকা। বিরক্তি নিয়ে বলেন, 'টাকাটাও গুনতে পারো না? একটা নোট বেশি আসছে।'
এক হাজার টাকার বাড়তি নোটটা ফিরিয়ে দিতে গিয়েও থমকে যান। কী যেন ভাবেন, ঠোঁটের কোণে একটা মৃদু হাসি ফোটে। তারপর বলেন, 'থাক, নয় হাজারই লাগবে।'
মতিউর নয় হাজার টাকার নোটগুলো বিছানায় পাশাপাশি বিছিয়ে রাখেন। তারপর মোবাইল বের করে টাকাগুলোর ছবি তুলেন। তারপর ছবিটা জুম করে দেখেন, হ্যাঁ, এখানে যে নয়টা নোট আছে বোঝা যাচ্ছে। এমনকি নোটের নম্বরও বোঝা যাচ্ছে।
মমতাজ অবাক চোখে মতিউরের কান্ডকারখানা দেখছিল। লোকটা টাকার ছবি তুলছে কেন?
মতিউর টাকাগুলো এবার ভাঁজ করে একটা খামে ঢুকিয়ে স্ট্রাপলার পিন দিয়ে আটকে দেন। টাকাগুলো রাখার সময় সেটা ভিডিও-ও করেন। তারপর বিড়বিড় করে বলেন, এবার দেখা যাক কত সৎ মানুষ তুমি।
শুচিতার রুমের সামনে আসতেই দেখেন মাইনুদ্দিন হাত নেড়ে নেড়ে কী যেন বোঝাচ্ছিল। বাইরে থেকে ওর পড়ানোর শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। মতিউর গলাখাঁকারি দিয়ে ভেতরে ঢোকে। তারপর নরম গলায় বলে, 'এবার দেরি হয়ে গেল। এই নাও তোমার এই মাসের বেতন।'
মাইনুদ্দিন হাত বাড়িয়ে খামটা নেয়। এই লোকটা টাকা দেবার সময় ইচ্ছে করে 'বেতন' শব্দটা বলে যেন ও মতিউরের কর্মচারী।
মাইনুদ্দিন খামটা পকেটে রাখতে রাখতে বলে, 'আংকেল, আমি তো আপনার এখানে চাকরি করি না যে আপনি আমাকে বেতন দেবেন। এটা আমার সম্মানী বলতে পারেন।'
মতিউরের মুখ চোখা হয়ে যায়। চোখ সরু করে বলে, 'ওহ, তাই বুঝি? আমরা পুরান আমলের মানুষ তো, অতশত বুঝি না। তা টাকাটা গুনে নাও।'
মাইনুদ্দিন আশ্বস্ত করে বলে, 'গুনতে হবে না। আপনি নিশ্চয়ই কম দেন নি।'
মতিউর মনে মনে খুশি হয়। এখন না গুনলেই ভালো। ইচ্ছে করেই আট হাজারের জায়গায় আজ নয় হাজার টাকা দিয়েছে। দেখা যাক, কাল এসে বাড়তি এক হাজার টাকা ফেরত দেয় কিনা। তখন বোঝা যাবে কতটা সৎ মানুষ।
একটা সপ্তাহ কেটে যায়। এর মাঝে মাইনুদ্দিন দু'বার এসেছে। কিন্তু বাড়তি টাকা নিয়ে টুঁশব্দ করেনি। মতিউর সময় নেন, তাড়াহুড়ো করেন না। যত দিন গড়ায় মনের ভেতর একটা প্রতিশোধের আনন্দ টের পান। কী সৎ একজন মানুষ, বাড়তি এক হাজার টাকার লোভই ছাড়তে পারল না? এরা যখন ওর মতো চাকরি করবে তখন ওর চেয়েও বেশি টাকা সরাবে। সবাই এক, টাকার কাছে সব ব্যাটাই নতজানু।
যখন দু'সপ্তাহ পার হয়ে যায় তখন একদিন শুচিতার পড়া শেষে মতিউর মাইনুদ্দিনকে বসতে বলে, 'একটু বোসো। তোমার সঙ্গে কথা আছে।'
মাইনুদ্দিন হাতঘড়ির দিকে তাকায়, 'আংকেল, আমার আরেকটা টিউশনে যেতে হবে। আপনার কি খুব বেশি সময় লাগবে?'
মতিউর মাথা নাড়ে, 'না, এই পাঁচ মিনিট লাগবে।'
মাইনুদ্দিন বসতেই মতিউর গলাখাঁকারি দিয়ে বলে, 'মাইনুদ্দিন, তোমাকে যে সেদিন খামে করে টিউশনির টাকা দিলাম সেটা গুনে দেখেছিলে? টাকা ঠিকঠাক ছিল?'
মাইনুদ্দিন গম্ভীরমুখে বলে, 'না আংকেল। এক হাজার টাকা কম ছিল।'
মতিউর ভ্রু কুঁচকে তাকায়। ওরে মিথ্যাবাদী! মুখে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটিয়ে বলে, 'তুমি ঠিকঠাক গুনেছিলে? আমার কাছে কিন্তু টাকার ছবি আছে, নম্বর সহ। টাকা খামে ভরার ভিডিও-ও আছে।'
কথা শেষ করে মোবাইল বের করেন। তারপর ছবি আর ভিডিও দেখিয়ে বলেন, 'সেদিন আমি তোমকে নয় হাজার টাকা দিয়েছিলাম। ইচ্ছে করেই একটা নোট বেশি দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম পরদিন এসে তুমি বাড়তি টাকাটা ফেরত দেবে। নিজে যে এত নীতির কথা বলো, কিন্তু মোটে একটা হাজার টাকার লোভ ছাড়তে পারলে না। উলটে বলছ এক হাজার টাকা কম ছিল? আমার মতো চাকরিতে ঢুকলে তো তুমি দেশ বেঁচে দেবে।'
কথাগুলো বলে বেশ একটা আত্মতৃপ্তি পান মতিউর। সেদিনের অপমানের শোধ নেওয়া হয় দারুণভাবে।
মাইনুদ্দিন একবার ভেতরের রুমের দিকে তাকায়৷ দরজার পর্দায় কারও ছায়া দেখা যাচ্ছে। শুচিতা হয়তো শুনছে সব।
মাইনুদ্দিন একটা লম্বা নিশ্বাস নেয়, তারপর পকেট থেকে মোবাইল বের করে একটা ছবি দেখিয়ে বলে, 'আংকেল, দেখুন তো এই নোট দুটো আপনি দিয়েছিলেন কিনা? আপনার মোবাইলের সঙ্গে এই এক হাজার টাকার নোট দুটো মিলিয়ে দেখেন।'
মাইনুদ্দিন ভ্রু কুঁচকে ওর মোবাইল নেয়। তারপর টাকার নম্বর মিলিয়ে বলে, 'হ্যাঁ, এই নোট দুটো আমি দিয়েছিলাম। এমন মোট নয়টা এক হাজার টাকার নোট ছিল। বাকি সাতটা কই?'
মাইনুদ্দিন ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে বলে, 'বাকি সাতটা নোট খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু এই দুটো নোট খরচ করতে পারিনি। কারণ এই দুটো এক হাজার টাকার নোট জাল ছিল। আমি খামে টাকা বেশি দেখে বুঝেছিলাম আপনি ভুল করে একটা নোট বেশি দিয়েছেন। ভেবেছিলাম পরদিন যখন পড়াতে যাব টাকাটা ফেরত দেব। কিন্তু এর আগেই ব্যাংকে আপনার দেওয়া টাকা থেকে আট হাজার টাকা জমা দিতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধে। ওরা বলল দুটো নোট জাল। পারলে তো আমাকেই তখন পুলিশে দেয়। অনেক কষ্টে সবাইকে বুঝিয়েছি যে টাকাগুলো আমি টিউশনি যেখানে করি সেখান থেকে পেয়েছি। কিন্তু ঠিক কোন বাসা থেকে পেয়েছি মনে নেই। আমি নোটগুলোর ছবি তুলে রেখেছিলাম। আপনি আংকেল আমাকে নয়টা নোটের মধ্যে দুটো নোট জাল দিয়েছেন। তাই এই মাসে আমি আট হাজারের জায়গায় সাত হাজার টাকা পেয়েছি।'
মতিউর তোতলানো গলায় বলে, 'কী বলছ এসব! আমি তোমাকে জাল নোট দেব কেন? কই দেখি, ছবিগুলো আবার।'
মতিউর আবার ছবিগুলো মিলিয়ে দেখেন। আরে, সত্যিই তো এগুলো ওর দেওয়া নোট। কিন্তু জাল টাকা এল কোথা থেকে? হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায়, যে বান্ডিল থেকে টাকাটা বের করেছিল সেটা এস আলম নামে একজন সাপ্লায়ার দিয়েছিল। ওদের একটা বিলের কাগজ ওর টেবিলে আটকে ছিল। মানে ও আটকে রেখেছিল। তখন এক বান্ডিল এক হাজার টাকার নোট দিয়ে ওরা বিল পাশ করে নিয়ে গিয়েছিল। ওরে বদমাশ এস আলম, তুই আমারে আসল টাকার সাথে জাল টাকা মিলিয়ে দিয়েছিস। কত অসৎ হতে পারে মানুষ!
মতিউর শুকনো মুখে বলে, 'আসলে আমি যার কাছ থেকে টাকা পেয়েছিলাম সেই ব্যাটা এই কাজ করেছে। দেখেছ, মানুষ কত অসৎ হয়ে গেছে। কাউকে বিশ্বাস করতে নেই।'
মাইনুদ্দিন বাঁকা হাসি হেসে বলে, 'জি আংকেল। কাউকে বিশ্বাস করতে নেই। মাঝে মাঝে আপনার মতো একটা নোট বেশি দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হয়।'
মতিউর লজ্জায় মাটিতে মিশে যায়। আমতাআমতা করে বলে, 'আরে না না, তুমি আমাকে ভুল বোঝ না। আসলে আমি ছোট্ট একটা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলাম তুমি আসলে মুখে যেমন নীতির কথা বলো অন্তরে তাই কিনা।'
মাইনুদ্দিন মিটিমিটি হেসে বলে, 'তা আমাকে কী মনে হলো আপনার?'
মতিউর বিগলিত হেসে বলে, 'না, তুমি একদম ঠিক আছ। কিন্তু একটা খটকা রয়েই গেল।'
মাইনুদ্দিন সামনে ঝুঁকে এসে জিজ্ঞাসু গলায় বলে, 'কী খটকা?'
মতিউর বিজ্ঞের মতো বলে, 'ধরলাম আমি তোমাকে দুটো নোট জালই দিয়েছি৷ কিন্তু সেটা পরে এসে তুমি বললে না কেন?'
মাইনুদ্দিন হাসে, তারপর বলে, 'আসলে আমি ভেবে দেখলাম জাল টাকা তো আপনি ইচ্ছে করে আমাকে দেননি। কেউ নিশ্চয়ই আপনাকে ঠকিয়ে দিয়েছে। আর দেখলাম আমি মোটে এক হাজার টাকা কম পেয়েছি। তাই আর ইচ্ছে করে বলিনি ব্যাপারটা। আমার মনে হয়েছে জাল টাকার দোষটা তো আপনার না।'
মতিউরের মনে হয় সামনে বসে থাকা বয়সে অনেক ছোট এই ছেলেটার কাছে ওর অনেক কিছু শিখবার আছে।
মতিউর পকেট থেকে এক হাজার টাকার একটা নোট বের করে বলে, 'এই নাও তোমার সম্মানীর এক হাজার টাকা। এরপর এমন হলে আমাকে অবশ্যই বলবে।'
মাইনুদ্দিন টাকাটা পকেটে ঢুকিয়ে উঠে দাঁড়ায়, তারপর বলে, 'আপনিও এরপর কেউ টাকা দিলে ভালো করে পরখ করে নেবেন। আমার মতো বিশ্বাস করে নিলে ঠকবেন। মানুষ আর আসল নেই, জাল নোটের মতো জাল মানুষে ভরে গেছে চারপাশ।'
মাইনুদ্দিন চলে যায়। মতিউর বিহবল দৃষ্টিতে ওর চলে যাবার পথের দিকে তাকিয়ে থাকে। কেন যেন মনে হয় ছেলেটা ওকে জাল মানুষ বলে গেল।
©মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস*
source: https://www.facebook.com/100067536807109/posts/874401048154447/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v