শুনেছি কোলকাতায় নাকি ইলিশ কেটে বিক্রি হয় আর এটা নিয়ে হাঁসাহাসি চলছে ফেইসবুকে। যারা হাঁসছে তারা সবাই কম বেশি আস্ত ইলিশ কিনে খাওয়া লোকজন। তারা জানে না বাংলাদেশের কতজন ইলিশ কিনে খেতে পারছে।
সেদিন বাজারে গিয়ে ইলিশ মাছের দাম জিজ্ঞেস করছিলাম, তখন মাছের দাম বললো কেজি ১৪০০ টাকা, মাছটির সাইজ বড়জোর ৭০০ গ্রাম হবে তারপরও কিনতে সাহস পেলাম না।
যদি কোলকাতার মত কেটে পিস পিস করে মাছ বিক্রি হতো তাহলে আমাদের আশেপাশের স্বল্প আয়ের লোকগুলো একবেলা ইলিশ চেঁখে দেখতে পারত। কতোজন মধ্যবিত্ত ইলিশ খেতে পারে না সে খবর কি আমরা রাখি!
যদি গাদা, পেটি,মাথা আলাদা করে বিক্রি হত তাহলে দশ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করা লোকটা তার বাচ্চার পাতে এক টুকরা ইলিশ এর পেটি তুলে দিতে পারত। বাংলাদেশে এক পিস আপেল কেনা, আর ভিক্ষা করা সমতুল্য। অথচ মধ্যবিত্ত এক পিস আনার, দুটো আপেল কিনতে পারলে স্বস্তি পেতো। বাংলাদেশের দোকানীর কাছে এইরকম ক্রেতা স্রেফ মিসকিন! আর সেই লজ্জার কারণেই আমরা এক বা দুই পিস আপেল কমলা কিনতে চাই না।
ভারতে কিন্তু এইভাবেই সবাই কিনে খায়। এমনকি ধনী দেশের লোকজনও চার পিস আপেল কিনে চাহিদা অনুযায়ী (শুনেছি)।
কোলকাতায় কিন্তু ২৫০ গ্রাম মুরগীর মাংস বা ২ পিচ মাছ কেনা যায়! বেশি কিনলে নষ্ট। এইটা অপচয় রোধ করে।এটা কিপ্টামী না। বাসি পঁচা খাওয়া থেকে ও এই পদ্ধতি অনেক উত্তম। আমাদের দেশে বড় সাইজের রুই কাতলা মৃগেল এই ধরনের মাছগুলো কেটে পিস হিসাবে বিক্রি করলে অনেক সাশ্রয় হতো, এতে করে যে যার যতটা প্রয়োজন সেই হিসেবে কিনে নিতো, আস্ত একটা বড় মাছ কিনে ফ্রীজে রেখে বাসি করে খেতে হতো না।
কোলকাতায় এক পিছ মিষ্টিরও সুন্দর কাগজের প্যাকেট আছে। ওখানে যার যতটুকু প্রয়োজন সে ততোটুকু নিতে পারে। এই সুবিধা খুবই ভালো।
সভ্য সমাজ প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেনে না। শুনেছি ইউরোপ আমেরিকার জনগন একটি চকলেটবার নিয়ে বন্ধুর বাসায় যায়। বন্ধু এককাপ কফিতে আপ্যায়িত করে। আমাদের মত ৩ কেজি মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়না আত্মীয় পরিজনের বাসায়।
source: https://www.facebook.com/100002342744536/posts/7415381875216497/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
No comments:
Post a Comment